মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
দেশে চলমান অসুস্থ রাজনীতির মাত্রা ছাড়িয়েছে। রাজনৈতিক সংগঠন গুলোতে দেশ,জনগণের কল্যাণে নেই কোন কর্মসূচী। সুষ্ট রাজনীতির পরিবেশ প্রায় অকার্যকর। নেতাকর্মীদের মাঝে নেই কোন সৌহার্দপূর্ণ আচরণ। একদল আরেকদলকে ঘায়েল করতে প্রতিশোধ ও হিংসাত্বক মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে।যারকারনে রাষ্ট্রের প্রতিটা সেক্টরে এক এলোমেলো অবস্থা। যে যার মতো করে চলছে, নেই কোন জবাবদিহিতা।
একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে যেমন সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। ক্ষমতা আর অর্থ রাজনীতিবিদদের জনগণ থেকে অনেকদূর নিয়েগেছে। রাজনীতিবিদরা জনগণ থেকে এতো দূরে চলে গেছে যে, জনগণের কি প্রত্যাশা তা ও আজ তারা বুঝতে পারেনা। ক্ষমতা অর্থ তাদেরকে এতো ই বোবা ও বধির করে দিয়েছে যে, জনগণের ন্যায্য দাবি তাদের কানে ও পৌছয় না, এমনকি মুখ দিয়ে বলতে ও পারেনা।
দেশের রাজনীতিবিদদের যখন এ দূরঅবস্থা তখন দেশ ও দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে ইসলামী রাজনৈতিক দল সমূহ ও ইসলামী নেতৃবৃন্দদের এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী ইসলামী রাজনীতিবিদদের প্রতি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে জনগণ এখন আরো বেশি আস্থাশীল। ইসলামী রাজনীতিবিদদের ও সেই আস্থার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। আলেম উলামা তথা ইসলামী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জনগণের আস্থার মর্যাদা রাখতে সকল ইসলামী শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনি সময়।
আলেম উলামাগণ যদি এই সুযোগ হাত ছাড়া করে ফেলে তাহলে বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
দেশের মানুষ আজ পাপাচারের দিকে দিনদিন অগ্রগামী হয়ে যাচ্ছে অনেক। কিন্তু নীতি নৈতিকতা, মূল্যবোধ সবকিছুই হারিয়ে গেছে আজ।
যখন জমিনে গোমরাহি, পাপাচারের সীমালঙ্ঘন করে ফেলে তখনই জলে স্থলে মহান প্রভূর পক্ষ থেকে নেমে আসে বিভিন্ন আযাব গজব। যার দ্বারা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে অনেক।
সম্প্রতি দেশের বন্যা পরিস্থিতি, ডেঙ্গু জ্বর সহ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বৃদ্ধি ই পাচ্ছে বহুগুণে। এ-র থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা না করে উল্টো তার মোকাবিলা করার কথা বলছে রাষ্ট্র। যা কখনো ই সম্ভব নয়।
আজ উলামায়ে কেরামদের ই দেশ ও জনগণের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। বান্দাহকে পূনরায় তার প্রভূর সাথে সম্পর্কোউন্নয়ন ঘটাতে তাওবার আহবান জানিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
লেখক
যুগ্ম সম্পাদক
ইসলামী ঐক্যজোট
ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা শাখা।
Leave a Reply